টবে বারমাসী আমড়ার(Hog Pulm) চাষ


টবে অতি সহজেই বারমাসী আমড়ার চাষ করা যায়। একটি কলমের চারা থেকে মাত্র এক বৎসরের মধ্যেই ফল পাওয়া সম্ভব । আমড়ার চাষ পদ্ধতিও খুব সহজ । বীজ থেকেও চারা করে টবে লাগানো যায় । এক্ষেত্রে ২-৩ বছরের মধ্যে ফল পাওয়া যায় । টবে লাগানোর জন্য কলমের চারাই বেশী ভাল।
কিভাবে গাছ লাগাবেনঃ ২ ভাগ বেলে-দোঁআশ মাটি, ১ভাগ গোবর,৫০ গ্রাম টি,এস,পি, ৫০ গ্রাম পটাশ, ২৫০ গ্রাম হাড়ের গুড়া এবং ১ কেজি কাঠের ছাই মিশ্রিত করে একটি ২০ ইঞ্চি পরিমান বড় টবে ভরে পানি দিয়ে রেখে দিতে হবে কমপক্ষে ১০ দিন । তারপর মাটি খুঁচিয়ে রেখে দিতে হবে আরও ৪-৫ দিন । মাটি ঝুর ঝুরে হলে উক্ত টবে একটি ভাল বারমাসী কলমের চারা লাগাতে হবে । তবে আমড়া গাছের চারা বৃষ্টির দিনে না লাগানো ভাল । বিশেষ করে বর্ষাকালে আমড়ার চারা না লাগিয়ে বর্ষার শেষে লাগানো উত্তম ।


পরিচর্যাঃ আমড়া গাছে পানি খুব কম দিতে হয় । গাছ লাগানোর প্রথম ৪-৫ মাস খুব অল্প পরিমানে পানি দিতে হবে । গাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে আস্তে আস্তে পানির পরিমান বাড়ালেও খুব বেশী পানি কখনও দিতে হয় না । দ্বিতীয় বছরে বর্ষার শেষদিকে একবার টবের গাঁ ঘেঁসে দুই ইঞ্চি প্রস্থ এবং আট ইঞ্চি গভীর করে মাটি ফেলে দিতে হবে । সেই জায়গাতে নতুন মাটি( গোবর, ছাই, হাড়ের গুড়া, টি, এস,পি, এবং পটাশ সার মিশ্রিত ) দিয়ে ভরাট করতে হবে । একই নিয়মে প্রতি বছর কিছু মাটি ফেলে নতুন মাটি টবে দিতে হবে । এই নিয়ম মত কাজ করতে পারলে বারমাসী আমড়া গাছে সাড়া বছরই আমড়া পাওয়া যাবে।

রোগজীবাণু ও পোকামাকড়ঃ আমড়াগাছে প্রায়ই একধরনের ছোট মাকড়সা আক্রমণ করে যা খালি চোখে দেখা যায় না । এতে পাতা কুঁকড়িয়ে যায় । এর জন্য মাঝে মাঝে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে । তা ছাড়াও ফল যখন ছোট থাকে তখন মাছি পোকার আক্রমন হতে পারে । এজন্য বিষ টোপ ব্যবহার করা ভাল। বর্ষাকালে ছত্রাক আক্রান্ত যাতে না করতে পারে সেজন্য বর্ষার পূর্বেই কয়েকবার ভাল ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা উচিৎ।


11