তাঁতের ছোট্ট একটি দোকান

নিজ এলাকায় এমন একটি দোকান দিতে পারেন, যেখানে থাকবে তাতের তৈরি বিভিন্ন পোশাক। এ ছাড়া পাইকারিভাবেও বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করতে পারেন। 

প্রাথমিকভাবে অল্প পুঁজিতেই শুরু করতে পারেন। ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা হলেই চলবে। সোনার বাংলা উইং ফ্যাক্টরির মালিক কামরুল ইসলাম জানান, তাঁতের তৈরি শাড়ি, সালোয়ার, থ্রিপিসসহ আরো অনেক রকম পোশাক আমরা পাইকারি এবং খুচরা দুভাবেই বিক্রি করি। সরাসরি কারখানায় গেলে পাইকারি দামে কেনা যায়। আর এলাকাভিত্তিক বাজার থেকে খুচরাভাবে কেনা যায়। শাহজাদপুর, বেলকুচি ও উল্লাপাড়ার বেশির ভাগ তাঁত মালিক এলাকার নির্ধারিত দিনে নিজেদের তৈরি শাড়ি বাজারে এনে বিক্রি করে করেন।

কোথায় পাবেন
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় তাঁতের তৈরি শাড়ি, কাপড়, লুঙ্গি, থ্রিপিস, পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি হয়। তবে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, তামাই, বেলকুচি ,উল্লাপাড়া, ও পাবনা জেলার সাঁথিয়া ও সুজানগরে অনেক বছর ধরেই পোশাক তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের করটিয়া ও বল্লা, নরসিংদীর মাধবদী, ভুলতা এবং গাউছিয়ায় তাঁতের তৈরি পোশাক পাইকারি দামে কেনা যায়।

কিনবেন কী হিসেবে


শাহজাদপুরের শেরখালী বাজারের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম জানান, তাঁতের তৈরি পোশাক কিনতে হয় জোড়া বা পেটি হিসেবে। এক পেটিতে ছয়টি ভিন্ন আকারের পোশাক থাকে। লুঙ্গি কিনতে হয় থান হিসেবে (এক থানে চারটি লুঙ্গি হয়)। 

থ্রিপিস, পাঞ্জাবিসহ অন্যান্য মালামাল কিনতে হয় জোড়া হিসেবে।

পাইকারি দরদাম
পাইকারি বাজারে তাঁতের তৈরি পোশাকের দাম কমবেশি হয়। ব্যবসার শুরুতে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া কাপড়ের বুননের ওপরও দাম কমবেশি হয়। পেটি হিসেবে সাধারণ মানের প্রতি পেটি শাড়ির পাইকারি দাম ২৪০০ থেকে ২৬০০ টাকা। মধ্যম মানের দাম পড়বে তিন হাজার থেকে তিন হাজার ২০০ টাকা। আর উন্নত মানের এক পেটি শাড়ির দাম পড়বে চার হাজার থেকে চার হাজার ৪০০ টাকা।
লুঙ্গি সাধারণ মানের প্রতি থান পাওয়া যাবে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। মধ্যম মানের দাম পড়বে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। উন্নতমানের প্রতি থান লুঙ্গির দাম পড়বে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা।

লাভ থাকে কেমন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে পাইকারি কাপড় কিনতে আসা খুচরা ব্যবসায়ী রবিউল জানান, খুচরা ব্যবসায়ী হিসেবে বিক্রির ওপর লাভ একটু বেশি থাকে। অনেক সময় খুচরা দোকানে প্রতি পিস পোশাক থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ করা যায়। আর গড়ে প্রতি পিস পোশাক থেকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লাভ থাকে।

আছে ঋণসুবিধা
ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এসএমই ঋণ দেয়। সহজ শর্ত এবং সুদ কম হওয়ায় এসএমই ঋণের জন্য আপনার এলাকার ব্যাংকের এসএমই শাখায় যোগাযোগ
করতে পারেন।